তিনি বাতিঘর

গাজীউল হক, কুমিল্লা ১৯৬২ সালের কথা। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গণপূর্ত বিভাগের কার্য সহকারী পদে ১১০ টাকা বেতনে চাকরি নেন মো. আবুল হোসেন। কিন্তু ওই চাকরিতে ঠিকাদারেরা প্রায়ই ঘুষ সাধতেন। তাই ত্যক্তবিরক্ত হয়ে শেষমেশ এক বছর পর চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর যোগ দেন ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরের বারভাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে। এরপর ১৯৬৯ সালে..

পিছিয়ে পড়াদের প্রেরণা

আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, রাজশাহী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি ছাড়া সব ফি মওকুফ করেছিলেন মো. জমিউল করিম। শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে, সে জন্য নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাবা-মায়েদের বোঝাতেন। সে সময় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর বাড়িতেই বিদ্যুৎ ছিল না। তাই সন্ধ্যার পর পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে পড়ার সুযোগও করে দিয়েছিলেন তিনি। এ কাজের জন্য কয়েকজন..

যিনি সবার আদর্শ

শাহ আলম, চুয়াডাঙ্গা করিমা খানমের জন্ম ১৯৫২ সালের ১৭ জানুয়ারি দামুড়হুদার কুড়ুলগাছিতে। সেই গ্রামে তখন স্কুল ছিল না। পড়াশোনা ছিল মক্তবনির্ভর। মেয়ের পছন্দে পাশের গ্রামের ধান্যঘরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্-প্রাথমিকে ভর্তি করান বাবা শাহ মোহাম্মদ আবদুল করিম। সেখান থেকে পঞ্চম শ্রেণির চৌকাঠ পেরোন করিমা। তারপর ভর্তি হন বাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরের দর্শনা বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানে..

এখনো পড়াতে চান দেবী রানী দাশ

শাহাদৎ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর্থিক সমস্যায় পড়াশোনা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন জয়দেব। শিক্ষক দেবী রানী দাশ বিষয়টি জেনে ছাত্র জয়দেবের বাড়ি গেলেন। বোঝালেন—পড়াশোনার গুরুত্ব। সহায়তাও করলেন। জয়দেব এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইলে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তিনি বলছিলেন, ‘সেদিন যদি ম্যাডাম বাড়িতে না যেতেন, তাহলে আজ আমি স্নাতকোত্তর হতে পারতাম না।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেবী রানী দাশ সম্পর্কে..

বটবৃক্ষের মতো শিক্ষক

এস এম হানিফ, চকরিয়া, কক্সবাজার শিক্ষার্থীরা ভালো করুক, তা মনেপ্রাণে চাইতেন মো. ফয়েজ আহমদ। এ জন্যই শ্রেণিকক্ষের নিয়মিত পাঠদানের বাইরে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করেন বিশেষ পাঠদান। এই বিশেষ পাঠদানের কারণে বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ফয়েজ আহমদের জন্ম ১৯৫৭ সালে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বিনামারায়। ১৯৮০ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে হাজিয়ান..