গরিবের শিক্ষক

কাজী আশিক রহমান, মাগুরা ১৯৭০ সালে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতপাড়া গ্রামে জন্ম শ্রীবাস চন্দ্র বিশ্বাসের (৫১)। তাঁর বাবা রামপদ বিশ্বাস ছিলেন পেশায় কৃষক। ছয় ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ শ্রীবাস চন্দ্র বিশ্বাস পেশায় স্কুলশিক্ষক। তাঁর আরও দুই ভাই শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত আছেন। বর্তমানে মাগুরার শালিখা উপজেলার শালিখা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ১৯৮৬..

স্কুল স্কুল খেলা থেকে ‘সেরা শিক্ষক’

আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায়ই ইভ টিজিংয়ের শিকার হয়েছেন। বখাটেদের ভয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মা-বাবা বিয়ে দিয়ে দেন। বাল্যবিবাহের কারণে স্বপ্ন ভেঙে গেলেও হাল ছাড়েননি বগুড়ার শেরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ পারভীন। ২০০৯-১০ সালে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নারী শিক্ষকের..

আলোর বাতিঘর

আনোয়ার পারবেজ, বগুড়া দেশভাগের সময়ে ১৯৪৭ সালে বগুড়া শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে নিশিন্দারা গ্রামে রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম নেন রওশন আরা বেগম। বাবা আবদুর রাজ্জাক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মা অবিরন বিবি গৃহিণী। চল্লিশের দশকে নারীশিক্ষার প্রতি সমাজ-পরিবারের একধরনের বাঁকা দৃষ্টি ছিল। মায়ের ইচ্ছায় পড়াশোনায় হাতেখড়ি নিশিন্দারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তখন এলাকায় কোনো মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায়..

বারবারের ব্যর্থতা থেকে সফল সংগঠক

মুক্তার হোসেন, নাটোর ১৯৮০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণের পর বাবা মেহের উদ্দিন অষ্টম সন্তানের নাম রেখেছিলেন হোসেন আলী। তবে স্কুলজীবনের শুরুতে গৃহিণী মা হাজেরা খাতুনের ইচ্ছায় তাঁর নাম বদলে রাখা হয় হায়দার আলী। বাবার তেমন একটা প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিল না। তবে নিজের চেষ্টায় যেটুকু জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, তা শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিনা বেতনে..

অদম্য অসহায় শিক্ষার্থীদের ভরসা

আরিফুল হক রুজু, রংপুর অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক শফিয়ার রহমানের জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২। স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। তিনি বর্তমানে রংপুর শহরের কেরানীপাড়ায় বসবাস করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার উত্তর ডাউয়াবাড়ি গ্রাম। গ্রামেই তাঁর জন্ম। তাঁর এক ছেলে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স করে চাকরি করছেন। মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থী। স্ত্রী..