শিক্ষার্থীদের পাশে থাকেন তিনি
কামনাশীষ শেখর, টাঙ্গাইল
রহিমা খাতুন কেবল শিক্ষার্থীদের পড়ান তা নয়, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় পাশে দাঁড়ান তিনি। বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা, বয়ঃসন্ধিকালে ছাত্রীদের সমস্যার সমাধানসহ যেকোনো বিষয়েই শিক্ষার্থীরা পাশে পায় তাঁকে। রহিমা খাতুনের জন্ম টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোয়ারিয়া গ্রামে। নিজ উপজেলার আউলিয়াবাদ মাজার দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন ১৯৯৬ সাল থেকে।
আপনি যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এত জনপ্রিয়, এর মূলমন্ত্র কী? প্রশ্ন শুনে রহিমা খাতুন বলেন, ‘শুরুর দিকে লক্ষ করি, প্রতিবছর মাদ্রাসার অনেক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়ে যায়। ফলে তাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়। তাই শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করি, যাতে লেখাপড়া বন্ধ করে অপ্রাপ্তবয়সে সন্তানকে বিয়ে না দেন। কোনো শিক্ষার্থীর বিয়ের উদ্যোগ নেওয়ার খবর পেলে ছুটে যাই অভিভাবকদের কাছে। তাঁদের বুঝিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করি। বুঝিয়ে বন্ধ করতে না পারলে প্রশাসনের সহায়তা নিই।’ এভাবে তাঁর উদ্যোগে অন্তত ২৫ জন ছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
রহিমা খাতুনের স্বামী আবুল হাশেমও একই মাদ্রাসার শিক্ষক। এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে সংসার। রহিমা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার নিজের সন্তানের মতো। তাই শুধু পড়াশোনা নয়, ওদের যেকোনো সমস্যায় পাশে থাকার চেষ্টা করি।’