বটবৃক্ষের মতো শিক্ষক
এস এম হানিফ, চকরিয়া, কক্সবাজার
শিক্ষার্থীরা ভালো করুক, তা মনেপ্রাণে চাইতেন মো. ফয়েজ আহমদ। এ জন্যই শ্রেণিকক্ষের নিয়মিত পাঠদানের বাইরে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করেন বিশেষ পাঠদান। এই বিশেষ পাঠদানের কারণে বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
ফয়েজ আহমদের জন্ম ১৯৫৭ সালে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বিনামারায়। ১৯৮০ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে হাজিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি। পরবর্তী সময় চকরিয়ার আরও কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছে। এসব স্কুলে সকাল-বিকেল দুই পর্বে বিশেষ পাঠদান করে সুনাম কুড়ান মো. ফয়েজ আহমদ।
সুনাম ছড়িয়ে পড়ার পর ফয়েজ আহমদ বদলি হয়ে আসেন কাহারিয়াঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলে যোগ দিয়েই ফয়েজ আহমদ শুরু করেন নতুন অভিযান। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করেন সান্ধ্য কোর্স। ১৯৯০ সাল থেকে স্কুলটি থেকে প্রতিবছরই এক থেকে চারজন পর্যন্ত বৃত্তি পেতে থাকে। ১৯৯৬ সালে পাঁচজন ট্যালেন্টপুলে ও পাঁচজন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিশেষ পাঠদান চালু রেখেছিলেন। ২০১৭ সালে অবসরে যান ফয়েজ আহমদ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমান উদ্দিন বলেন, ‘ফয়েজ স্যার আমার শিক্ষক।
তাঁর মতো শিক্ষার্থীদের পাঠদানকে “ঘরসংসার” মনে করার মতো শিক্ষক এখনো পাইনি। তাঁর জীবনের বড় অংশ ব্যয় করেছেন শিক্ষার্থী ও স্কুলের জন্য।’