পিছিয়ে পড়াদের প্রেরণা
আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, রাজশাহী
দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি ছাড়া সব ফি মওকুফ করেছিলেন মো. জমিউল করিম। শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে, সে জন্য নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাবা-মায়েদের বোঝাতেন। সে সময় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর বাড়িতেই বিদ্যুৎ ছিল না। তাই সন্ধ্যার পর পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে পড়ার সুযোগও করে দিয়েছিলেন তিনি। এ কাজের জন্য কয়েকজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিতেন। শুধু তা-ই নয়, যারা বই কিনতে পারত না, তিনি নিজের লাইব্রেরি থেকে তাদের বিনা পয়সায় বই দিতেন। যারা প্রাইভেট পড়তে পারত না, তাদের আলাদাভাবে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিলেন।
মো. জমিউল করিম রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮৯ সালে। মিরু স্যার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছেন ২০১৮ সালে।
মো. জমিউল করিমের উদ্যোগের কারণে পিছিয়ে পড়া অনেক শিক্ষার্থী প্রভূত উপকার পেয়েছিল। তাঁর এক শিক্ষার্থী মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘নবম শ্রেণিতে আর্থিক সমস্যার কারণে সেশন ফি দিতে পারিনি। সে জন্য হাজিরা খাতায় আমার নাম ছিল না। একদিন স্যার
প্রথম ক্লাসে নাম ডাকার সময় বুঝতে পেরে বকেয়া ফি মাফ করার ব্যবস্থা করলেন। তবে শর্ত
দিলেন ভালোভাবে পড়ার। স্যারের অনুপ্রেরণাতেই আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হতে পেরেছি।’