তিনি বাতিঘর
গাজীউল হক, কুমিল্লা
১৯৬২ সালের কথা। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গণপূর্ত বিভাগের কার্য সহকারী পদে ১১০ টাকা বেতনে চাকরি নেন মো. আবুল হোসেন। কিন্তু ওই চাকরিতে ঠিকাদারেরা প্রায়ই ঘুষ সাধতেন। তাই ত্যক্তবিরক্ত হয়ে শেষমেশ এক বছর পর চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর যোগ দেন ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরের বারভাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে। এরপর ১৯৬৯ সালে সপরিবার চলে আসেন বাংলাদেশের কুমিল্লায়। এখানে থিতু হয়ে আবার সেই শিক্ষকতা পেশাই বেছে নেন তিনি। কুমিল্লা মডার্ন স্কুলের শিক্ষক মো. আবুল হোসেন এপার-ওপার দুই বাংলাতেই শিক্ষকতা করে পেয়েছেন আনন্দ আর সম্মান। তাঁর ভাষায়, ‘শিক্ষকতাই আমার ধ্যানজ্ঞান।
আনন্দহীন কর্ম ব্যর্থ কর্ম। আনন্দহীন শিক্ষা ব্যর্থ শিক্ষা।’
মো. আবুল হোসেন কুমিল্লা মডার্ন স্কুলে (প্রাথমিক বিদ্যালয়) সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন ১৯৭০ সালে। চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা শুরু করেন আবার। ১৯৭২ সালে কুমিল্লা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও ১৯৯১ সালে ডিগ্রি (বিএ) পাস করেন। ২০১৪ সালে পদোন্নতি হয় তাঁর, দায়িত্ব পান সহকারী প্রধান শিক্ষকের। টানা ৫০ বছর ধরে জ্ঞানের আলো বিতরণ করছেন নিরলসভাবে।
প্রিয় শিক্ষক মো. আবুল হোসেন সম্পর্কে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ আঞ্জুম সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষকতায় স্যার নিবেদিতপ্রাণ। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সারা দিন মেতে থাকেন।’