এখনো পড়াতে চান দেবী রানী দাশ
শাহাদৎ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আর্থিক সমস্যায় পড়াশোনা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন জয়দেব। শিক্ষক দেবী রানী দাশ বিষয়টি জেনে ছাত্র জয়দেবের বাড়ি গেলেন। বোঝালেন—পড়াশোনার গুরুত্ব। সহায়তাও করলেন। জয়দেব এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইলে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তিনি বলছিলেন, ‘সেদিন যদি ম্যাডাম বাড়িতে না যেতেন, তাহলে আজ আমি স্নাতকোত্তর হতে পারতাম না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেবী রানী দাশ সম্পর্কে এমন আরও অনেক কথা শুনবেন আপনি। স্কুল আর ছাত্রছাত্রীই ছিল তাঁর পৃথিবী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজ নেওয়া, ক্লাসের সময় শেষ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পড়া বুঝিয়ে দেওয়া ছিল তাঁর নিয়মিত কাজ।
১৯৮৭ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন দেবী রানী। গোকর্ণ পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০০০ সালে। আর ২০১৩ সালে ওই স্কুল থেকে বদলি হয়ে সিলেটের একটি বিদ্যালয়ে যান। সেখান থেকেই অবসরে গেছেন ২০১৯ সালে।
দেবী রানী দাশ বলেন, ‘সেবার মানসিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করেছি। শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো করে আদর করতাম। এখনো ইচ্ছা করে, আবার যদি স্কুলে পড়াতে পারতাম।’