সহশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আপন

মো. নূরুজ্জামান নাদিম, ঢাকা আফরূজ জাহান বেগমের মা ছিলেন শিক্ষক। একসময় তিনিও ঠিক করেন, মায়ের আদর্শেই জীবন চালাবেন, বেছে নেবেন মায়ের পেশা—শিক্ষকতা। ১৯৮১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুস সামাদ খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আফরূজ জাহান বেগম। স্বামীর কর্মস্থল ময়মনসিংহে শুরু হয় সংসারজীবন। পড়াশোনাও চালিয়ে নেন। ময়মনসিংহের দুটি স্কুলে শিক্ষকতার পর..

বটবৃক্ষের মতো শিক্ষক

এস এম হানিফ, চকরিয়া, কক্সবাজার শিক্ষার্থীরা ভালো করুক, তা মনেপ্রাণে চাইতেন মো. ফয়েজ আহমদ। এ জন্যই শ্রেণিকক্ষের নিয়মিত পাঠদানের বাইরে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করেন বিশেষ পাঠদান। এই বিশেষ পাঠদানের কারণে বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ফয়েজ আহমদের জন্ম ১৯৫৭ সালে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বিনামারায়। ১৯৮০ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে হাজিয়ান..

স্যার কখনো বসে বসে পড়াতেন না

মনিরুল ইসলাম, যশোর তাঁর ছাত্রদের ভাষায়, ‘রশিদ স্যার কখনো বসে বসে পড়াতেন না।’ আদতেই তা-ই, ক্লাসে পড়ানোর সময় মো. আবদুর রশিদ কখনোই চেয়ারে বসতেন না। ক্লাসে ঘুরে ঘুরে গল্পের ছলে পড়া বুঝিয়ে দিতেন। মো. আবদুর রশিদ ঝিকরগাছা সরকারি এম এল মডেল হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। শিক্ষক আবদুর রশিদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। তাঁর প্রাক্তন ছাত্র এ কে..

শিক্ষার্থীদের পাশে থাকেন তিনি

কামনাশীষ শেখর, টাঙ্গাইল রহিমা খাতুন কেবল শিক্ষার্থীদের পড়ান তা নয়, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় পাশে দাঁড়ান তিনি। বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা, বয়ঃসন্ধিকালে ছাত্রীদের সমস্যার সমাধানসহ যেকোনো বিষয়েই শিক্ষার্থীরা পাশে পায় তাঁকে। রহিমা খাতুনের জন্ম টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোয়ারিয়া গ্রামে। নিজ উপজেলার আউলিয়াবাদ মাজার দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন ১৯৯৬ সাল থেকে। আপনি যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এত জনপ্রিয়, এর..

অনুপ্রেরণার উৎস শাহনাজ কবীর

তাফসিলুল আজিজ, কিশোরগঞ্জ ‘খুব ভালো ছাত্রী’—ছেলেবেলা থেকে সবার মুখে এই প্রশংসা শুনে বড় হয়েছেন শাহনাজ কবীর। সবার আগে অঙ্ক করে খাতা জমা দিলে শিক্ষকেরা যখন তাঁকে বোর্ডে অঙ্কটা করে বুঝিয়ে দিতে বলতেন, তখন বোঝানোর পর সবাই হাততালি দিত। তিনি মনে মনে ভাবতেন, ভালোভাবে পড়া বুঝিয়ে দিলে সবাই কত খুশি হয়, কত ভালোবাসে। তাহলে আমিও শিক্ষক..