শারীরিক অক্ষমতা দমাতে পারেনি তাঁকে

এজাজ আহম্মেদ, রাজবাড়ী                                  তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। এক পায়ে শক্তি পান না। এখন বয়সের কারণে হাঁটাচলা করতেও পারেন না। তাঁর চলার সঙ্গী ভ্যান বা হুইলচেয়ার। কিন্তু সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি নেই। তিনি কখনো সকাল ১০টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন না। আবার বিকেল চারটার আগে কখনো বিদ্যালয় থেকে বের হন না। পুরো নাম মো. ছিদ্দিকুর..

জ্ঞানের ফেরিওয়ালা

মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী ১৯৬৭ সালে স্নাতক পরীক্ষা শেষে পার্শ্ববর্তী উপজেলার ছাতারপাইয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান শিক্ষক তাঁকে শিক্ষকতার প্রস্তাব দিলে পরদিনই তিনি ওই বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করেন। এরপর শিক্ষকতার মাধ্যমে জ্ঞানের ফেরি করেন একে একে আরও চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকই ছিলেন দীর্ঘ ২৫ বছর। শিক্ষকতাজীবনের বেশির ভাগ সময় নিজের..

স্বপ্ন ছিল কলেজের শিক্ষক হওয়া!

রুহুল বয়ান, মহেশখালী, কক্সবাজার ছোটবেলায় তাঁর স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে কলেজের একজন শিক্ষক হবেন। দারিদ্র্য পরিবার হওয়ায় কোনোরকমে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। কিন্তু ডিগ্রিতে ভর্তি হলেও টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি। এ কারণে প্রতিভা থাকার পরও অসহায় পরিবারে জ নেওয়ায় তাঁর স্বপ্ন আলোর মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত অসহায় পরিবারের হাল ধরার জন্য প্রাথমিক..

অসহায়দের অনুপ্রেরণা

কামরান পারভেজ, ময়মনসিংহ তাঁর পেশা শিক্ষকতা। বিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ছবি আঁকা শেখানোর কাজটি সঠিকভাবে কালেই দায়িত্ব শেষ। কিন্তু তিনি নিজেকেই এ রুটিন দায়িত্বের মধ্যেই বন্দী করতে চাননি। তিনি নিজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাড়ালেন দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে। গড়ে তুললেন একটি সংগঠন। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হলেন আরও শিক্ষক। এখন স্বপ্ন দেখেন সারা দেশেই..

একজন ‘গ্রাম্য স্যারের’ গল্প

শেখ আল এহসান, খুলনা সুন্দরবন উপকূলের নদীর পাশের একটি গ্রাম ঘুগরাকাটী। ওই গ্রামের ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন মো. আজিজুল হক। তাঁর বাবা ছিলেন দিনমজুর। পরিবারের পক্ষ থেকে আজিজুলকে পড়াশোনা করানোর ইচ্ছা ছিল না। বাবা চাইতেন তাঁর সঙ্গে মাঠে কাজ করাতে নিয়ে যেতে। কিন্তু শাহাবুদ্দীন মাষ্টারের চাপে পড়াশোনা চালিয়ে যান আজিজুল হক। ২০০০ সালে পঞ্চম..